রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল জেলার ৬টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৫১ জন প্রার্থী। যারমধ্যে বিএনপির ১২ জন, আওয়ামী লীগের ৪, জাতীয় পার্টির ৪ জনসহ মোট ১৬টি দলের ৪৩ জন এবং স্বতন্ত্র ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন।
মোট প্রার্থীর মধ্যে ১০ জন হলফানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। আর আগের অব্যাহতি পাওয়া মামলার কথা উল্লেখ করেছেন ৮ জন। বাকীরা হলফনামায় কোনো কিছু উল্লেখ না করায় ধরে নেওয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা হয়নি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় প্রার্থীদের উল্লেখ করা তথ্যানুযায়ী, বরিশাল-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী আবদুস সোবাহানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক উপাদানকারী ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ৭টি মামলা রয়েছে। যার প্রত্যেকটি বিচারাধীন রয়েছে এবং তিনি এগুলোতে জামিনে রয়েছেন। এ আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপনের বিরুদ্ধে বর্তমানে আয়কর অধ্যাদেশের একটি মামলা ব্যতীত কোনো ফৌজদারি মামলা নেই এবং পূর্বের দু’টি মামলায় বেকসুর খালাস প্রাপ্ত রয়েছেন।
বরিশাল-২ আসনে বিএনপির সৈয়দ শহিদুল হক জামালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনেসহ পৃথক ধারায় ৩টি মামলা রয়েছে এবং পূর্বের ৩টি মামলা থেকে অব্যাহতিও পেয়েছেন।
বরিশাল-৩ আসনে বিএনপির সেলিমা রহমানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রবাদি আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ৩২টি মামলা রয়েছে। মামলার মধ্যে ২টি তদন্তাধীন, ১১টি বিচারাধীন ও ১৯টি মামলার সব কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এ আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে বর্তমানে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৫টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে ৭টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত ও ৮টি তদন্তাধীন রয়েছে। এর বাহিরে জননিরাপত্তা ও বিশেষ বিধান আইনের একটি মামলা হাইকোর্ট থেকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন।
বরিশাল-৪ আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে বর্তমানে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া বিগত দিনে তার আরো দুটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
এ আসনে বিএনপির মেজবাউদ্দীন ফরহাদের বিরুদ্ধে বর্তমানে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা বিচারধীন রয়েছে। তবে হলফনামায় বিগত দিনের মামলার বিষয়ে উল্লেখ করেননি তিনি।
বরিশাল-৫ আসনে বিএনপির মোঃ এবায়েদুল হক চাঁনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি সহ ২ টি মামলা চলমান রয়েছে। এ আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী মোঃ মজিবর রহমান সরওয়ারের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, দুর্নিতী দমন আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ১৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং ৫ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
বরিশাল-৬ আসনে বিএনপির আবুল হোসেন খানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বিভিন্ন ধারায় দু’টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া অস্ত্র আইনের একটি মামলায় উচ্চ আদালত কর্তৃক খালাস ও দুদক আইনের একটি মামলায় অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
অপরদিকে বরিশাল-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই এবং আগের অস্ত্র আইন, দুর্নীতি দমন আইনসহ বেশ কয়েকটি আইনে থাকা ১০টি মামলায় তিনি অব্যাহতি ও বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
বরিশাল-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনো মামলা নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন পাশাপাশি বরিশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি মামলায় থানা কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহ আলম মিঞার বিরুদ্ধে বর্তমানে তার বিরদ্ধে কোনো মামলা নেই এবং পূর্বের দু’টি মামলার একটি মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে এবং অন্যটিতে বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিনি।
বরিশাল ৩ আসনে জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপুর বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা নেই এবং পূর্বের তিনটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি।
বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের পঙ্কজ নাথের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলার কথা হলফনামায় উল্লেখ না করলেও সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালনকালে প্রতিপক্ষ কর্তৃক একাধিক মামলা দায়েরের সংবাদ গোচরীভূত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে পুরাতন ৪টি মামলার বেকসুর খালাস পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
বরিশাল-৫ সদর আসনে জাতীয় পার্টির এ কে এম মুরতজা আবেদীনের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা না থাকলেও পুরাতন ৩টি মামলার মধ্যে ২টি উচ্চ আদালত কর্তৃক স্থগিত ও একটিতে থানা কর্তৃক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা উল্লেখ করেছেন। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা না থাকলেও বিগত দিনে থাকা তিনটি মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। একই আসনে আওয়ামী লীগের জাহিদ ফারুকের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা না থাকলেও বিগত সময়ের একটি মামলা আদালত কর্তৃক খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।